
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্তি পেতে বেশ কয়েকটি দেশে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পূর্বে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা কয়েকটি ওষুধ কোভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (এইচসিকিউ)।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে ওষুধটি ব্যবহারে কোনো উপকার হচ্ছে না। বরং সংক্রমিত রোগীর দেহে আরো অন্যান্য শারীরিক জটিলতা তৈরি হয় বলে নতুন দুটি গবেষণায় দেখা গেছে। আজ শুক্রবার ফ্রান্স ও চীনের প্রকাশ করা দুটি গবেষণায় এমন হতাশাজনক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কাজে দেয় বলে প্রাথমিক কিছু গবেষণায় দেখা যায়। এরপরই চলমান সংকট মোকাবেলায় এটির মাধ্যমে কিছুটা আশা দেখছিল বিশ্ব। তাই অনেক দেশেই ওষুধটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়।
কিন্তু আজ ফ্রান্সের একদল গবেষকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, তারা ১৮১ জন করোনা রোগীর ওপর গবেষণাটি চালান। এর মধ্যে ৮৪ জনের ওপর হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগ করা হয়। বাকি ৯৭ জনকে ওষুধটি ছাড়াই পর্যবেক্ষণ করা হয়। পর্যবেক্ষণে তাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য পাওয়া যায়নি। এমনকি অনেকের মৃত্যু হয়েছে অথবা ১০ দিনের মধ্যে তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে।
চীনের করা গবেষণায় দেখা যায়, ১৫০ জন কোভিড-১৯ রোগীকে দুই ভাগে ভাগ করে তারা এই চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে একটি গ্রুপকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগ ছাড়াই পর্যবেক্ষণ করা হয়। বাকিদের দেহে ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়। চার সপ্তাহ পর দেখা যায়, তাদের সবার অবস্থা একই রকম আছে। কোনো পার্থক্য নেই।