
মহনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর শিক্ষা সমগ্র মানব জাতি তথা বিশ্বাসীর জন্য অনুসরণীয় বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহানবী (সা.) এর শিক্ষায় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার পৃথক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এতে দিবসটি সামনে রেখে বিশ্ববাসীসহ মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানান তারা।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহ তায়ালা মহানবী (সা.) কে সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত করে পাঠিয়েছেন।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকার থেকে মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছেন, বলেন রাষ্ট্রপতি।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, মহানবী (সা.) এর জীবনাদর্শ আমাদের জীবন আলোকিত করুক, চলার পথের পাথেয় হোক। নবীর আদর্শ যথাযথভাবে অনুসরণ করে দেশ, জাতি ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার তৌফিক দিন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) উপলক্ষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি ও মঙ্গল কামনা করেন। মহান আল্লাহ প্রিয়নবী (সা.) কে পাপাচার, অত্যাচার, মিথ্যা, কুসংস্কার ও সংঘাতে জর্জরিত পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন মানবতার মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন এবং মানবকল্যাণে নিয়োজিত থেকে সারা বিশ্বে শান্তি বইয়ে দিয়েছেন। করোনা মহামারিসহ দ্বন্দ-সংঘাতময় বিশ্বে নবীর শিক্ষা অনুসরণ ও ইবাদতের মাধ্যমে শান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।