‘বিশেষ ফ্লাইট’ বাতিল, হয়রানির শিকার যাত্রীরা

করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে ৮ দিনের কঠোর লকডাউন। এ সময় সবকিছু বন্ধ থাকলেও ৫ দেশের প্রবাসীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে ‘বিশেষ ফ্লাইট’ চালুর সিদ্ধান্ত হয়। আজ শনিবার চালু হওয়া এই ফ্লাইটের শুরুতেই বেধেছে বিপত্তি। বাতিল করা হয়েছে সৌদি আরবগামী ভোট ৬টা ১৫ মিনিটের ফ্লাইটটি।

জানা যায়, ফ্লাইটির যাত্রী ছিলেন ৩১৪ জন। রাত ১২টার পরপরই প্রায় সব যাত্রী বিমানবন্দরে পৌঁছে যান। রাত ২টার দিকে ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে হয়রানির শিকার হওয়া যাত্রীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। যাত্রীরা বলছেন, ঠিক সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছাতে না পারলে চাকরি চলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।

কেন ফ্লাইটটি বাতিল করা হলো- এই প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ বিমানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, রিয়াদ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে অবতরণের অনুমতি পাওয়া যায়নি। অনুমতির জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর অবশেষে ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী কোনো ফ্লাইটের সাথে সমন্বয় করে এসব যাত্রীদের সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

জানা গেছে, বিশেষ ফ্লাইটের এই অনুমতি শুধু সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, ওমান ও কাতার প্রবাসীদের জন্য।

সর্বাত্মক লকডাউনে ফ্লাইট বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়ছেন এই ৫টি দেশে কাজ করা হাজার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক। তারা যদি ঠিকমতো কর্মস্থলে পৌঁছাতে না পারে তাহলে চাকরি হারানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে ‘বিশেষ ফ্লাইট’ চালুর এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বেবিচকের (বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ) চেয়ারম্যান বলেন, উল্লিখিত ৫টি দেশে ১০০ থেকে ১২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। শুধু করোনা নেগেটিভ যাত্রীরাই এই সুযোগ পাবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের এয়ারপোর্টে নিয়ে আসার দায়িত্ব রিক্রুটিং এজেন্সির।