দেশে কিটের অনুমোদন না পেলে বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে স্বত্ব হস্তান্তর করা হবে -গণস্বাস্থ্য

দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে। তাছাড়া কিটের অভাবে এখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে করোনা টেস্ট করা হচ্ছে না। ফলে সঠিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও কারো কোনো ধারণা নেই। এমন অবস্থায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট কিটের মান যাচাইয়ের জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পেলেই কিট অনুমোদনের সিদ্ধান্ত জানাবে সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

তবে কোনো কারণে কিটের রেজিস্ট্রেশন বা অনুমোদন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ঝুলে গেলেও এর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত নন উদ্ভাবকরা। যদি কোনো কারণে কিটের রেজিস্ট্রেশন না করা যায়, তাহলে সেগুলো বিদেশি রাষ্ট্র, সংস্থা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে স্বত্ব হস্তান্তর করা হবে বলে জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকরা। তবে দেশের মানুষের প্রয়োজনে কিটের ব্যবহার নিশ্চিত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।

জানা যায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিটের এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশনের জন্য ইতোমধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই কিটের রেজিস্ট্রেশন দেবে ওষুধ প্রশাসন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা চান, বিএসএমএমইউর পাশাপাশি আইসিডিডিআরবিও এই কিটের এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশন পরীক্ষা করুক। কারণ যত বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে, ততই কিটের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। কিন্তু বিএসএমএমইউ এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশনের দায়িত্ব নিলেও আইসিডিডিআরবি তা করতে চাচ্ছে না। তারপরও দ্রুততার সঙ্গে ওষুধ প্রশাসন কিটের রেজিস্ট্রেশন দেবে বলে আশা করছেন তারা।

এ বিষয়ে কিট উৎপাদনের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেন, রেজিস্ট্রেশন না দেয়ার কোনো কারণ দেখছি না। কারণ প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি দেখছেন। তাই দ্রুতই রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে বলে আশা করি। তারপরও যদি কোনো কারণে রেজিস্ট্রেশন না হয়, তাহলে সেগুলো দেশের বাইরে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। এতে কোনো বাধা নেই।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএসএমএমইউর পরীক্ষায় পাসের পর ওষুধ প্রশাসন থেকে রেজিস্ট্রেশন পেয়ে যাব বলে আশা করছি। এখন নেতিবাচক কিছু ভাবতে চাই না। আমাদের চেষ্টা থাকবে এই কিট বাংলাদেশের মানুষের জন্য ব্যবহার করা। যদি কোনো কারণে ব্যতিক্রম হয়ে যায়, তাহলে বাইরের প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে সিডিসি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইরানসহ আরো অনেকেই কিটের ব্যাপারে যোগাযোগ করেছে।