সোহরাওয়ার্দীতে গাছ কাটা যাবে না -হাইকোর্ট

ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনেক স্মৃতি আকড়ে থাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কেটে সেখানে রেস্টুরেন্ট স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে, কাটার জন্য চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে আরও অনেকগুলো। এ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদের মুখে ‘আপাতত’ আর কোনো গাছ না কাটতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা হয়। এমনকি মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। প্রতিবাদের এই ধারাবাহিকতায় গত ৬ মে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। এছাড়া আদালতে এ সংক্রান্ত একটি আবেদনও করা হয়।

সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার (১১ মে) শুনানির তারিখ ঠিক করেছে হাইকোর্ট। জানানো হয়েছে, আগামী ২০ মে এই আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। তার আগ পর্যন্ত যেন আর কোনো গাছ কাটা না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, গণপূর্ত বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. শামিম আখতার এবং চিফ অর্কিটেক্ট অব বাংলাদেশ মীর মনজুর রহমান বরাবর পাঠানো লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে দায়ের করা এ সংক্রান্ত একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক এবং বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ দেশের উদ্যান সংরক্ষণে যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন, গাছ কাটার এই উদ্যোগ তার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিছক কোনো উদ্যান নয়, এর সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে সকল স্বাধীকার আন্দোলনের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এছাড়া এই উদ্যানের আছে ঐতিহাসিক ও পরিবেশগত ঐতিহ্য। তাই উদ্যানটির মধ্যে গাছ কেটে রেস্টুরেন্ট তৈরি করা বড় ধরনের অপরাধ।’ উল্লেখ করা হয় লিগ্যাল নোটিশে।