
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২০ জনকে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ২৯ জন। ১৫ ঘণ্টা ধরে চলছে উদ্ধারকাজ। সোমবার (৫ এপ্রিল) লঞ্চটি ওপরে তোলার উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে বিআইডব্লিটিএ।
গতকাল রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল দোতলা ছোট আকারের যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘সাবিত আল আসাদ’। মদনগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু এলাকায় পৌঁছালে এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর লঞ্চের অনেক যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠে আসলেও এখনো খোঁজ মেলেনি অনেকের।
এদিকে স্বজনদের খোঁজে নদীর পাড়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে।
স্বজনহারাদের আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে শীতলক্ষ্যার তীর। নিখোঁজদের সন্ধানে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করেন স্বজনরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হয় কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী সদস্যদের। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় পৌঁছে কাজ শুরু করে। রাত ১০টার দিকে জাহাজটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর একে একে উদ্ধার করা হয় মরদেহ।
বিআইডব্লিউটি ‘র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ডুবে যাওয়া লঞ্চটিতে অর্ধশত যাত্রী ছিলেন।