
করোনাভাইরাসের ভয়াবহ মহামারি ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বব্যাপী ভেন্টিলেটরের চাহিদা বাড়ছে। অনেক উন্নত দেশেই প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর নেই বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। এ অবস্থায় মেডট্রনিকের সহায়তায় দেশেই ভেন্টিলেটর উৎপাদনে যাচ্ছে ওয়ালটন। আগামী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহেই এর উৎপাদন শুরু হবে বলে জানা গেছে।
এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ তথ্য জানিয়েছেন। এ ছাড়া ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ এবং কোম্পানিটির নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ওয়ালটন তাদের নিজস্ব কারখানায় অক্সিজেন ভেন্টিলেশনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি করবে। এ কাজে তাদের সহায়তা দেবে বিশ্বখ্যাত মেডিকেল যন্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মেডট্রনিক।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘মেডট্রনিকের সহায়তায় ভেন্টিলেটর তৈরি করতে যাচ্ছে ওয়ালটন। শিগগিরই দেশে ভেন্টিলেটর উৎপাদন হবে, এ ব্যাপারে আমরা খুবই আশাবাদী।’
প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, করোনাভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর খুবই জরুরি। ওয়ালটন সব সময় দেশের মানুষের চাহিদা ও প্রয়োজনকে গুরুত্ব দেয়। আর তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষাকারী ভেন্টিলেটর, পাওয়ার এয়ার পিউরিফায়ার রেসপিরেটর (পিএপিআর), অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ইউভি ডিসইনফেকট্যান্ট, সেফটি গগলস, প্রোটেকটিভ শিল্ড, রেসপিরেটরি মাস্ক ইত্যাদি চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে কাজ করছে ওয়ালটন।
তিনি জানান, এসব চিকিৎসা সরঞ্জামের গবেষণা ও উন্নয়ন এবং ডিজাইন নিয়ে কাজ চলছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে যদিও কারখানাসহ অফিসে ছুটি চলছে, তারপরও ওয়ালটনের অর্ধশতাধিক প্রকৌশলীকে এ কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে। তারা দেশের অবস্থা বিবেচনা করে জরুরিভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী তৈরির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
অপরদিকে, প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম বলেন, ‘বিশ্বের সর্বত্র এখন ভেন্টিলেটরের সংকট চলছে। কারণ মানুষের জীবন বাঁচাতে এটি এখন জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই দেশের প্রয়োজনে আমরা ভেন্টিলেটর উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এটি একটি উচ্চ প্রযুক্তিনির্ভর পণ্য এবং সে কারণে সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে যতটা সম্ভব অল্প সময়ের মধ্যে ওয়ালটন ভেন্টিলেটর উৎপাদনে যাবে বলেও জানান তিনি।