
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি রিসেলদার (বরখাস্ত) মোসলেউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। বাংলাদেশি গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজার। তবে নিজের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন বলেও অন্য একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল ওই ঘটনার অন্যতম আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তিনিও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে লুকিয়ে ছিলেন এবং সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তার পর রাজধানীর মিরপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আনন্দবাজার বলছে, আবদুল মাজেদের মতো পরিচয় লুকিয়ে দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গে বাস করছেন মোসলেমউদ্দিন। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া মাজেদকে জেরা করেই বাংলাদেশের গোয়েন্দারা সেটা জানতে পারেন।
বাংলাদেশি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর পরই ভারতের গোয়েন্দাদের সহযোগিতায় মোসলেউদ্দিনকে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার একটি স্থান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, আবদুল মাজেদ আটক হওয়ার পরই নিজের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে গা ঢাকা দিয়েছে মোসলেউদ্দিন।
ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লকডাউনের সময় ভারত থেকে মোসলেউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ায় সমস্যা হতে পারে বলে ঢাকার পক্ষ থেকে বিষয়টি ভারতীয় গোয়েন্দাদের জানানো হয়। পরে ভারতীয় গোয়েন্দারা এই খুনিকে কার্যত তাড়িয়ে সীমান্তের কোনো একটি অরক্ষিত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশি গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেয়। তবে সরকারিভাবে এ ব্যাপারে কিছুই স্বীকার করা হয়নি।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার বলছে, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি আধাশহরে ইউনানি চিকিৎসক সেজে ভাড়া থাকছিলেন মোসলেউদ্দিন।
কলকাতাভিত্তিক গণমাধ্যমটি বলছে, সেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ফেরারি আসামি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবের বাড়িতে হামলার চালানো দলটির সামনের সারিতে ছিলেন মোসলেউদ্দিন। অনেকের দাবি, মোসলেউদ্দিনই গুলি করে হত্যা করেছিলেন শেখ মুজিবকে।