বাড়ছে মেডিকেল বর্জ্য, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে দেশ

দেশে বিপজ্জনক মেডিকেল বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা আগে থেকেই অত্যন্ত দুর্বল ছিল। এখন আবার নতুন করে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি। সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ মাস্ক, গ্লাভস, গগলস, পিপিইসহ বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করছে। এসব সুরক্ষা সামগ্রীর অনেকগুলোই মাত্র একবার ব্যবহারযোগ্য। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে বিপজ্জনক মেডিকেল বর্জ্য। আর এর যথাযথ নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বাড়ছে সংক্রমণের ঝুঁকি।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষ বিভিন্ন ধরনের সুরক্ষা সমাগ্রী ব্যবহার করছে। এসব সুরক্ষা সমাগ্রীর অনেকগুলোই মাত্র একবার ব্যবহার করে যথাযথ নিষ্কাশন ব্যবস্থা ছাড়াই যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে, তেমনি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরাও।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গত মাসে সারাদেশের হাসপাতালগুলো থেকে প্রায় আড়াই শ টন মেডিকেল বর্জ্য বের করা হয়েছে। এসব মেডিকেল বর্জ্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। আবার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা যথাযথ সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া এসব মেডিকেল বর্জ্য সংগ্রহ ও নিষ্কাশনের কাজ করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন তারাও।

এ বিষয়ে দেশের একমাত্র মেডিকেল বর্জ সংগ্রহ ও নিষ্কাশন সংগঠন প্রিজম মেজিকেল ওয়েস্ট কালেকশন অর্গানাইজেশনের প্রধান আনিসুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে হঠাৎ করেই ঝুঁকিপূর্ণ মেডিকেল বর্জ্যের পরিমাণ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি লকডাউনের কারণে প্রায় অর্ধেক সংখ্যক পরিচ্ছন্নতাকর্মী কমে গেছে। ফলে এসব ঝুঁকিপূর্ণ মেডিকেল বর্জ্য সংগ্রহ ও নিষ্কাশনের হিমশিম খাচ্ছে তার সংগঠন।

তিনি আরো বলেন, মানুষ তাদের ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস বা পিপিই যত্রতত্র ফেলছে। যথাযথ সুরক্ষা সমগ্রী না থাকায় এসব বর্জ্য নিষ্কাশনের করতে গিয়ে ঝুঁকিতে পড়ছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। পাশাপাশি রাস্তাঘাটে পড়ে থাকা এসব বিপজ্জনক মেডিকেল বর্জ্যের কারণে ঝুঁকিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষও।

আনিসুর রহমান আরো বলেন, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের এখনই উচিত কোভিড-১৯ বর্জ্য নিষ্কাশন কৌশল প্রণয়ন করা। তা না হলে সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়বে গোটা দেশ।