বাংলামোটরে করোনা শনাক্ত কিটসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

রাজধানীর বাংলামোটরে অভিযান চালিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে অবৈধভাবে মজুত করা নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তকারী কিটসহ বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাংলামোটরের জহুরা টাওয়ারে অবস্থিত এবিসি কর্পোরেশনে অভিযান চালিয়ে এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। অভিযান পরিচালনা করে ডিএমপির রমনা বিভাগ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- অমিত বসাক, শুভ, আনোয়ার হোসেন ও শোয়াইব।

শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ডিএমপির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এস এম শামীম গণমাধ্যমকে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মগবাজার চেকপোস্টে তিনি এবং তার টিম ডিউটি করছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি তাদের কাছে এসে অভিযোগ জানান, বাংলামোটরে এক ব্যবসায়ী তার কাছে ২০টি মাস্ক ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। যেখানে মাস্কগুলোর প্রকৃত বাজার মূল্য মাত্র ৩ হাজার ৬০০ টাকা।

তিনি আরো জানান, ওই ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি তার টিম নিয়ে বাংলামোটরের জহুরা টাওয়ারে অবস্থিত এবিসি কর্পোরেশনে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সেখানে ২৭৫ পিস করোনাভাইরাস শনাক্তকারী কিট পাওয়া যায়। এসব কিট বেসরকারিভাবে কেউ পাওয়ার কথা নয়। অর্থাৎ অবৈধভাবে কিটগুলো মজুত করা হয়েছে।

এছাড়া সেখান থেকে ১০০ পিস এন-৯৫ মাস্ক, ৯,০৫০ পিস সাধারণ মাস্ক, ৯৬০ জোড়া হ্যান্ড গ্লাভস, ১৯৮ পিস পিপিই, ২৫০ জোড়া চশমা, ১,৪৪০টি শু-কাভার এবং ৯০০টি ক্যাপ উদ্ধার করা হয়। অবৈধভাবে এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম মজুদ করার অভিযোগে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার এস এম শামীম।

পরে গ্রেপ্তাকৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫/২৫(বি) ধারায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এস এম শামীম বলেন, দেশে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। অথচ কিছু মুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা এসব সরঞ্জাম অধিক দামে বিক্রি করার জন্য মজুত করে রেখেছেন।