
সৈনিকদের রেশনের অংশ থেকে বেঁচে যাওয়া খাদ্য সামগ্রী লকডাউনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি ত্রাণ হিসেবে পৌঁছে দিচ্ছে সেনাবাহিনী। আজ সেনা সদস্যরা কয়েকশ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয় অন্তত ১৫ দিনের খাদ্য সহায়তা। এদিকে, জনবল সংকটে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।
একেতো ঘিঞ্জি এলাকা। তার মাঝে প্রচন্ড বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়া। আর এর মধ্যেই টহল গাড়ি থেকে ত্রাণ নামিয়ে কাঁধে করে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) সকালে নগরীর বায়েজীদ এলাকায় এমন পরিস্থিতি। সৈনিকদের রেশন থেকেই ব্যবস্থা করা হয়েছে এই ত্রাণের। আছে কর্মকর্তাদের আর্থিক সহায়তা’ও।
ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টার কমান্ডার লে কর্ণেল সারোয়ার হোসেন বলেন, আমরা প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি এই রেশনগুলো পৌঁছে দিচ্ছি। আশা করি দশ-পনের দিকে ভালো মতো চলতে পারে।
ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে’ও দিনভর কাজ করে সেনাবাহিনীর ১০টি টিম।
এদিকে ৪ জন ট্রাফিক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি আড়াইশ সদস্য কোয়ারেন্টিনে চলে যাওয়ায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে চরম হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগকে।
সিএমপি উপ কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, আমাদের কিছু ফোর্সকে কোয়ারেন্টাইন ও কিছুকে আইসোলেশনে পাঠিয়েছি। এছাড়া আমরা যারা বাকি কাজ করছি তারা সর্বোচ্চ দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছি।
নগরীর ৫টি প্রবেশ মুখের পাশাপাশি ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে সিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগকে।