
এবার দোকান-পাট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আবেদন করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে আজ রোববার বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদের সিনিয়র সচিব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে লকডাউন চলাকালে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মার্কেট ও দোকান-পাট খোলা রয়েছে। কিন্তু সাধারণত ক্রেতারা বিকেল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে কেনাকাটা শেষ করে বাসায় গিয়ে ইফতার করে। কারণ সকল হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় বাইরে ইফতার করার কোনো সুযোগ নেই।
এতে আরো বলা হয়, বেসরকারি অফিস ছুটি হয় বিকেল ৪টায়। ফলে তারা মার্কেটে গিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কেনাকাটা করে আবার ইফতার করার জন্য দ্রুত বাসায় ফিরে যান। এ ছাড়া ইফতারের পর মাত্র এক ঘণ্টার জন্য আর কেউ মার্কেটে আসেন না।
সবকিছু মিলিয়ে ক্রেতারা সবাই এক সঙ্গে বিকেল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে মার্কেট করতে ব্যাপক ভিড় পরিলক্ষিত হয়। আবার ইফতারের পর ৮টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা থাকলেও ক্রেতা মেলে না।এ অবস্থায় সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মার্কেট ও দোকানসমূহ খোলা রাখলে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ক্রেতা সাধারণের মার্কেটে যে ভিড় থাকে সেটা কমে যাবে। পাশাপাশি ক্রেতা সাধারণ সময় নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করার সুযোগ পাবে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জেনে খুশি হবেন যে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যাতে না বাড়ে সেজন্য প্রত্যেক মার্কেট কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফলে ৯৫ শতাংশ মানুষ মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা করছে। এদিকে, ঈদের আর মাত্র ১০ দিন বাকি আছে। ফলে এই কয়দিন মার্কেটে ভিড় আরো বেড়ে যাবে। তাই ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারী এবং ক্রেতা সাধারণ যাতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেন, সেজন্য সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়ার জন্য আপনার সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।এ ছাড়া চলমান লকডাউনের মধ্যেই ব্যবসায়ীদের ক্ষতি ও মানবিক দিক বিবেচনা করে মার্কেট খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করা হয় চিঠিতে।