দেশে ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে পিপিই !

দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর চাহিদা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অনুমোদনহীন নিম্নমানের পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) উৎপাদন ও বিক্রি করেছে। এমনকি বগুড়ায় ফুটপাতেই পাওয়া যাচ্ছে এসব নিম্নমানের পিপিই।

জানা যায়, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকে বগুড়ার দুই-তিনটি প্রতিষ্ঠান যেনতেনভাবে টিস্যু কাপড় ও পলিস্টার কাপড় দিয়ে নিম্নমানের পিপিই তৈরি করছে। তৈরির পর এসব পিপিই শহরের অভিজাত সার্জিক্যালসামগ্রী বিক্রয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতে। এক শ্রেণির দর্জি মানহীন কাপড় দিয়েই সেলাই করে তৈরি করছেন এ সুরক্ষা সামগ্রী। বিজ্ঞাপন দিয়েও বিক্রি হচ্ছে এসব অনুমোদনহীন পিপিই। দাম নেওয়া হচ্ছে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা।

বগুড়া শহরে পিপিই কিনতে এসে ফিরে যাওয়া এক পল্লী চিকিৎসক জানান, সবগুলো পিপিই সুইং মেশিন দিয়ে সেলাই করা। কিছু কিছু আবার পেস্টিং করা। এগুলো একবার ব্যবহাররে যোগ্য হলেও বলা হচ্ছে ধুয়ে পুনরায় পরা যাবে। তারপরও কিছুটা সুক্ষার পাওয়ার আশায় তিনি এটি কিনতে যান। কিন্তু দর-দামে না মেলায় তিনি কিনতে পারেননি।

রাজধানীতে গায়ে পিপিই জড়িয়ে বাজার করতে আসা এক ব্যক্তি জানান, বাজারে আসলে একে অপরের সঙ্গে সংস্পর্শ হবেই। তাই সুরক্ষিত থাকতে সস্তায় একটি পিপিই কিনেছেন। ঘরের বাইরে আসলেই এটি পরেন তিনি।

শহরের সাতমাথার ফুটপাতে পিপিই বিক্রি করা এক ব্যবসায়ী বলেন, এগুলো সাধারণ গার্মেন্টসে তৈরি করা। মানুষের চাহিদা আছে, তাই একটু লাভের আশায় এগুলো বিক্রি করছেন।

তবে এসব পিপিই কিনে মানুষ শুধু নিজেকে সান্ত্বনাই দিচ্ছেন বলে মনে করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। কারণ এসব পিপিই ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে না। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে এগুলো ব্যবহার করে সুরক্ষিত থাকার প্রশ্নই আসে না।

এ বিষয়ে বগুড়া ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মাদ আহসান হাবীব বলেন, অনুমোদনহীন পিপিই বিক্রি না করার জন্য তারা ইতোপূর্বে সবাইকে সতর্কতা দিয়েছেন। এরপরও যদি কেউ নির্দেশনা অমান্য করে তাহলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।