দেশে করোনায় আক্রান্ত দেড় শতাধিক চিকিৎসক-নার্স

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর পর থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। আক্রান্তদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য একটা অংশ হলেন চিকিৎসক ও নার্স। এ পর্যন্ত এক চিকিৎসকেরও মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন (বিডিএফ) বলছে, দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন চিকিৎসক কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ বেসিক গ্রাজুয়েট নার্সেস সোসাইটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সারাদেশে কমপক্ষে ৫৭ জন নার্স করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। এ ছাড়া ২৭০ জন নার্স কোয়ারেন্টাইনে আছেন।

বিডিএফের প্রধান প্রশাসক নিরুপম দাস বলেন, ‘করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ডাক্তারের সংখ্যা ১০০ জনে পৌঁছে গেছে। এটি একটি উদ্বেগজনক ব্যাপার। এই সংখ্যা বাড়তে থাকলে চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তার খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

তিনি আরো জানান, আক্রান্ত বেশিরভাগ চিকিৎসক ঢাকার।

অপরদিকে, নার্সেস সোসাইটির তথ্যমতে, সংক্রমিত নার্সদের মধ্যে ৩১ জন সরকারি হাসপাতালের। বাকি ২৬ জন বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের।

চিকিৎসকরা মনে করছেন, নিম্নমানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামের (পিপিই) কারণে বেশি সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী সংক্রমিত হচ্ছেন।

এর আগে গত বুধবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ডা. মঈদ উদ্দিন নামের এক চিকিৎসক। তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। সেখানেই করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় আনা হয়।

গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত দেশে ১৮৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৭৫ জন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন ৫৮ জন।