জরুরী সেবায় নিয়োজিত ত্রাণবাহী কাভার্ডভ্যানে ইয়াবা, আটক ২

নিজের ঘরে যিনি ভালোভাবে খেতেও পারেননি তিনিই কিনা এলাকাবাসীর নিকট আকস্মিক দফায় দফায় ত্রাণ বিতরণ থেকেই সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এই সন্দেহ থেকেই এমন ব্যক্তির নিকট থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে দেড় লাখ পিস ইয়াবার চালান। ইয়াবার মূল মালিক তিনি অবশ্য পালিয়ে গেছেন। তবে পুলিশ ইয়াবাসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করে।

কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ ওসমানের মালিকানাধীন ইয়াবার এই চালানটি আজ মঙ্গলবার পুলিশ উদ্ধার করেছে। মেম্বার ওসমান রাজধানী ঢাকা থেকে একটি কাভার্ডভ্যানে করে এলাকার দরিদ্র মানুষের জন্য ত্রাণ নিয়ে আসে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দরিদ্র মানুষের তালিকা করে ইউপি মেম্বার ত্রাণ বিতরণ করেন। রমজান মাসের মধ্যেই তিনি এলাকায় একাধিকবার ত্রাণ বিতরণ করায় এলাকাবাসীর মধ্যে সন্দেহের দানা বাঁধতে থাকে। শেষ পর্যন্ত আজ সকালে মহেশখালী থানার পুলিশ মেম্বার ওসমানের ঘরে গিয়ে ঢাকা থেকে ত্রাণ নিয়ে আসা কাভার্ডভ্যানটিতে তল্লাশী চালিয়ে উদ্ধার করেন দেড় লাখ পিস ইয়াবার চালানটি।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, প্রকৃত পক্ষে মেম্বার ওসমান হচ্ছেন একজন রোহিঙ্গা। ২৫/৩০ বছর আগে এখানে এসে বসতি স্থাপন করেন তিনি। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নির্বাচিত হয়ে যায়। অর্থনৈতিক অবস্থা মোটেই ভালো ছিল না। এ কারণেই ত্রাণ বিতরণ করায় সন্দেহের চোখে পড়ে যায় এলাকাবাসীর।

ওসি জানান, বাস্তবে ইয়াবার চালান কাভার্ডভ্যানে বিশেষ কায়দায় নিয়ে যাবার জন্যই ঢাকা থেকে ভ্যানটি ভাড়ায় নিয়ে আসেন তিনি। ভ্যানের তলায় বিশেষ কায়দায় ইয়াবার চালানটি নেয়ার সময়ই পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে নুর মোহাম্মদ ও করিমুল্লাহ নামের দুই জন।

আটক হওয়া নুর মোহাম্মদ কাভার্ড ভ্যানের সাথেই থাকেন তিনি গাজীপুর চৌরাস্তায় বসবাস করেন। এর আগেও ইয়াবার চালান নিয়ে গেছেন মহেশখালী থেকে। আর আটক অপরজন হচ্ছেন টেকনাফের সাবরাং এলাকার বাসিন্দা করিমুল্লাহ। পুলিশ আসার সংবাদ পেয়েই ইয়াবার মালিক ওসমান মেম্বার পালিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে মহেশখালী থানায় মামলা হয়েছে।