
সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়লেও আর সারাদেশে ঢালাও ভাবে সাধারন ছুটি ঘোষণা করবে না। হবে এলাকা ভিত্তিক লকডাউন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, মহানগরীতে প্রতি একলাখে ৩০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী হলে সেই এলাকা রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে।আর জেলা উপজেলা ভিত্তিক সেই সংখ্যা হবে আরো কম।
উইকিপিডিয়া তথ্য মতে ২০১১সালের আদমশুমারি অনুযায়ী কেরানীগঞ্জের লোকসংখ্যা ৬০৩১১৪ জন। ৯ বছর পর যদি জনসংখ্যা দ্বিগুণ ও হয় তাহলে হবে ১২ লক্ষ।
ধরা যাক কেরানীগঞ্জের জনসংখ্যা ১৫ লক্ষ,সে হিসেবে ৪৫০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী হলেই রেড জোন। অথচ কেরানীগঞ্জে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪২ জন।কোন একক উপজেলা হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে কেরানীগঞ্জের অবস্থান ১নম্বরে। সুতরাং বলা যায় কেরানীগঞ্জ রেড জোনেই পরবে।
আর এ অবস্থার জন্য দায়ী কেরানীগঞ্জের সাধারন জনগন। তারা স্বাস্থ্ বিধি, সামাজিক দুরত্ব কিছুই মানে না। হাট বাজারগুলো লোকে লোকারণ্য।অনেকে মাস্ক পর্যন্ত ব্যবহার করে না।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ,আগানগর ব্রীজের নিচের বাজারে কয়েকশ মানুষ গা ঘেঁষাঘেঁষি বাজার করছে। তাদের অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই।এ ব্যাপারে বাজার করতে আসা আগানগরের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন লকডাউন শেষ হয়ে গেছে, সবকিছুই আগের মত স্বাভাবিক তাই মাস্ক না পরলেও চলবে। কালিগঞ্জ বাজারে ও কদমতলী চৌরাস্তায়, মডেল টাউনের অলিগলিতে একই অবস্থা। অনেক স্বাস্থ্ বিধি কি তাই জানে না।
এ প্রসঙ্গে কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডাঃ মীর মোবারক হোসেন দেশ কন্ঠস্বরকে বলেন, কেরানীগঞ্জ বাসিকে সচেতন করতে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার,নার্স ,ল্যাবটেকনিশিয়ান,ক্লিনার সহ ২১ জন ও র্যাব পুলিশের শতাধিক সদস্য করোনা আক্রান্ত হলেও দুঃখজনক সত্যি হলো তাদের সচেতন করা গেলোনা। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে কেরানীগঞ্জের সুস্থ রাখা যায় বাকিটা তাদের নিজেদের হাতেই রইল।
প্রতিবেদক : টিটু আহম্মেদ (স্টাফরিপোর্টার)