কুমিল্লায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে, মৃত্যু ২০

দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় থাকা জেলাগুলোর মধ্যে বর্তমানে পঞ্চম স্থানে অবস্থান করছে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা। সেখানে ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়ে গেছে। এদের মধ্যে ২০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

আজ রোববার তথ্যটি নিশ্চিত করে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নেয়াতুজ্জামান বলেন, গত একদিনের ব্যবধানে নতুন করে ৮১ জনের দেহে মরণব্যাধী এই ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে। যা একদিনের ব্যবধানে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সংখ্যাটা প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কুমিল্লায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬০৭ জন। এদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ২০ জন। বিপরীতে সুস্থ হয়েছেন ৯০ জন।

সিভিল সার্জন বলেন, নতুন শনাক্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২২ জন রোগী পাওয়া গেছে চান্দিনা উপজেলায়। এদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক এবং ওষুধ কোম্পানির দুই প্রতিনিধি আছেন। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত শুধু চান্দিনায় কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া গেছে ৫২ জন।

এ ছাড়া নতুন শনাক্তদের মধ্যে কুমিল্লা মহানগরীর ১১ জন, আদর্শ সদরের তিন জন, লাকসামের তিন জন, মুরাদনগরের আট জন, বুড়িচংয়ের আট জন, ব্রাহ্মণপাড়ার দুই জন, মনোহরগঞ্জের এক জন, হোমনার এক জন, তিতাসের দুই জন, দাউদকান্দির তিন জন, মেঘনার আট জন এবং দেবিদ্বারের নয় জন।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলাটিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ১৩০ জন রোগী পাওয়া গেছে দেবিদ্বারে। এরপরই মুরাদনগরে ১১৮ জন, কুমিল্লা মহানগরীতে ৫২ জন ও চান্দিনায় ৫২ জন, নাঙ্গলকোটে ৪৬ জন, লাকসামে ৩৬ জন, সদরে ৩২ জন, বুড়িচংয়ে ২৫ জন, দাউদকান্দিতে ১৯ জন, তিতাসে ১৭ জন, সদর দক্ষিণে ১৭ জন, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১৪ জন, বরুড়ায় ১১ জন, মেঘনায় ১০ জন, মনোহরগঞ্জে ১০ জন, হোমনায় ৫ জন, লালমাইয়ে চার জন ও চৌদ্দগ্রামে ৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।