
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকিয়ে দিতে বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ যত বেশি টেস্ট করা হবে ততই উঠে আসবে আসল চিত্র, যার ওপর দাঁড়িয়ে পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব হবে। কিন্তু বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠীর বিপরীতে পরীক্ষা করার এই হার বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম।
আইইডিসিআরের (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান) তথ্য অনুযায়ী, ১৬ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার এই দেশে গতকাল পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ৬০২ জনের। অর্থাৎ প্রতি ১০ লাখে পরীক্ষা হয়েছে ১০ জনের। সব দেশের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার হার এটাই সর্বনিম্ন।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অবস্থাও তথৈবচ। দেশটি প্রতি ১০ লাখে নমুনা পরীক্ষা করতে পারছে বাংলাদেশ থেকে মাত্র এক জন বেশি, ১১ জনের। এদিক থেকে সবচেয়ে বেশি সতর্ক সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা প্রতি ১০ লাখে পরীক্ষা করছে ১৩ হাজার ২৯৮ জনের!
বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করছেন, নমুনা পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই। যত বেশি পরীক্ষা করা হবে ততই করোনা মোকাবেলার পথে এগিয়ে যাওয়া যাবে।
গত ১৬ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিচালক ড. ট্রেড্রোস অ্যাডহানোম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, ‘চোখ বেঁধে যেমন আগুনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যায় না, তেমনি কে বা কারা আক্রান্ত তা না জেনে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়। দেশগুলোর প্রতি আমাদের বার্তা হলো- টেস্ট, টেস্ট এবং টেস্ট।’