অপহরণরে ৩ দিন পর উদ্ধার, মুক্তিপণের টাকাসহ অপহরণকারী আটক

বিকাশে থাকা লাখ টাকা লোভে পড়ে অপহরণ করেও শেষ রক্ষা হল না দুই অপহরণকারীর। হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মানিকুল ইসলামের দক্ষতায় শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান শেষে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার ও আটক করা হয়েছে দুই অপহরণকারীকে। একই সাথে উদ্ধার করা হয়েছে মুক্তিপণের জন্য দেয়া ১০ হাজার টাকা। সকাল সাড়ে ১১ টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এসব তথ্য প্রকাশ করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা।

তিনি বলেন, ঢাকা তেজগাঁও ‘সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজের’ ক্লিনার আলতাফ হোসেনের মোবাইলের বিকাশ একাউন্টে ১ লাখ টাকা রয়েছে জানতে পেরে তাকে অপহরণের পরিকল্পনা করে পূর্ব পরিচিত শরবত বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম।

গত ৩১ আগস্ট আলতাফ হোসেনকে অপহরণ করে হবিগঞ্জ নিয়ে আসে মনিরুলসহ দুই অপহরণকারী। পরে তারা আলতাফ হোসেনের পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আলতাফ হোসেনকে না পেয়ে তার পরিবার তেজগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন এবং বিষয়টি র‌্যাবকে অবগত করলে র‌্যাব জানতে পারে তারা হবিগঞ্জ রয়েছে। পরে হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের কাছে আসলে গত বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে শহরের সিনেমাহল রোড এলাকার আবাসিক হোটেল ‘পলাশ’ থেকে অপহৃত আলতাফকে উদ্ধার করে এবং দুই অপহরণকারীকে আটক করে।

আটককৃত দুই অপহরণকারী হল লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের আজদু মিয়ার পুত্র মনিরুল ইসলাম মনির (২৪) ও একই এলাকার বাতিন মিয়ার পুত্র হাবিব মিয়া (২০)।

এ ঘটনায় আটকৃতদের বিরুদ্ধে ভিকটিম আলতাফ হোসেনের মেয়ের জামাই মোঃ তুহিন চৌধুরী বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছে। ভিকটিম আলতাফ হোসেনের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার সুলতানাবাদ গ্রামে। সে তেজগাঁও ‘সিভিল এভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজের’ ক্লিনার হিসেবে কর্মরত। প্রেস ব্রিফিংকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ডিবি পুলিশের ওসি মানিকুল ইসলাম, গোয়েন্দা শাখার (ডিএসবি) ওসি কাজী কামাল হোসেন, ডিএসবি’র এসআই আবুল হোসেন, এসআই আবুল কালাম আজাদসহ পুলিশ প্রশাসন ও হবিগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। এদিকে, শহরের সিনেমাহল এলাকায় হোটেল গুলোর একের পর এক অপরাধ কর্মকান্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা হোটেল পলাশসহ সবকটি হোটেলকে পুলিশী নজরদারীর বাড়ানোর পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানান।

মোঃ নাসির উদ্দিন রাসেল, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি