
আইসিসি কঠোর থেকে কঠোরতম অ্যাকশন নিয়েও ম্যাচ ফিক্সিং বন্ধ করতে পারছে না। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে শ্রীলঙ্কার অন্তত তিন জন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ঘটনার কথা স্বীকার করে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী ডুলাস আলাহাপেরুমা বলেছেন, ‘ক্রীড়া ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ও চারিত্রিক সততা কমে যাওয়ায় আমরা দুঃখিত।’ কিন্তু এই তিন ক্রিকেটার সাবেক নাকি বর্তমান, সেটা জানা যায়নি।
শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে যে, বর্তমান দলের কোনো ক্রিকেটার ম্যাচ-ফিক্সিংয়ে জড়িত নয়। এক বিবৃতিতে বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার যে তদন্তের কথা ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছেন, তা শ্রীলঙ্কার তিন জন সাবেক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। বর্তমান জাতীয় দলের কোনো ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে না।’
দেশের তিন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে যখন ম্যাচ ফিক্সিয়ের তদন্ত চলছে, তখন শ্রীলঙ্কার পেসার শেহান মাদুশঙ্কার বিরুদ্ধে উঠেছে ড্রাগ নেওয়ার অভিযোগ। গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কার পুলিশ হেরোইনসহ তাকে গাড়ি থেকে আটক করে। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড সঙ্গে সঙ্গে অভিষেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা এই পেসারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে। সেই ব্যাপারে দেশচির ক্রীড়ামন্ত্রী বলেছেন, ‘তাকে নিয়ে দেশের অনেক প্রত্যাশা ছিল। তাই এই ঘটনাটি দুঃখজনক।’