
যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ। তাদের অভিযোগ, এতে করে নাগরিক অধিকার ও উপার্জনের সক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, যা সংবিধানবিরোধী। বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ছাড়াও বিখ্যাত সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের শীর্ষ কর্মকর্তা অ্যান্থনি ফাউসির বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন।
গতকাল শনিবার বিক্ষোভ হয়েছে ওকলাহোমা, ভার্জিনিয়া, মিশিগান, নর্থ ক্যারোলাইনা, কেন্টাকি, ওহিও, টেক্সাস ও মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন স্থাপনার সামনে অবস্থান নিয়ে লকডাউনবিরোধী বক্তব্য দেন। তাদের কারো কারো হাতে ভারী অস্ত্রও দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে টেক্সাস প্রথমবারের মতো লকডাউন তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহে সেখানকার দোকানপাট খুলে দেয়া হবে। রাজ্যের প্রশাসন এটা করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়াই। এছাগা আরো কয়েকটি রাজ্য লকডাউন তুলে নেওয়ার আভাস দিয়েছে।
লকডাউনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের একজন টম হজহেই বলেন, আমার একটি ক্ষুদ্র ব্যবসা আছে কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেটা বন্ধ। রাজ্য আমাকে বন্দিদশার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এমনকি জরুরি জিনিসপত্র কিনতেও আমরা বাসা থেকে বের হতে পারছি না। অনেক দিন তো হলো, এবার লকডাউন শিথিল করে দেওয়া হোক।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও লকডাউন তুলে নেওয়ার পক্ষে। এ নিয়ে তিনি একাধিক টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, অর্থনীতি চালু করার ব্যাপারে তার পূর্ণ কর্তৃত্ব রয়েছে।