করোনা মহামারিতেও ৩০৮ বিলিয়ন ডলার আয় যাদের

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্ব অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখমুখীন হলেও যুক্তরাষ্ট্রের এক শতাংশ ধনকুবেরের পকেটে ঢুকেছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। ইন্সটিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

সেখানে দেখা যায়, গত ১৮ মার্চ থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ৩৫ দিনে নিজেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০৮ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ৩০ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা) ঢুকিয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বোজোস এবং জুমের প্রতিষ্ঠাতা এরিক ইউয়ানসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, লকডাউনের কারণে বিশ্বজুড়ে ২৬ মিলিয়ন মানুষ অর্থাৎ দুই কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ চাকরিচ্যুত হয়েছে। অথচ এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা আট ব্যবসায়ীর প্রত্যেকে বিলিয়ন ডলার তাদের ব্যাংকে ঢুকিয়েছেন। সে তালিকায় বোজোস, এরিকসহ মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান স্টিভ বলমার ও টেসলা এবং স্পেসএক্সের মালক ইলন মাস্কের নামও আছে।

ইন্সটিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের হিসাবে দেখা যায়, বছরের শুরু থেকে অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪ ধনকুবেরের সম্পদের পরিমাণ অন্তত কয়েক কোটি ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এদের মধ্যে আট জনের সম্পদের পরিমাণ ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি বেড়েছে।

এই আট জন হলেন- রকো কমিসো (মিডিয়াকম), জশুয়া হ্যারিস (অ্যাপোলো গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট), ইলন মাস্ক (টেসলা ও স্পেসএক্স), জন আলবার্ট সবরাটো (সিলিকন ভ্যালি রিয়াল এস্টেট), স্টিভ বলমার (মাইক্রোসফট), এরিক ইউয়ান (জুম), ম্যাকেঞ্জি বেজোস (অ্যামাজন) ও জেফ বেজোস (অ্যামাজন)।

সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে অ্যামাজনের ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ারের মালিক বেজোসের। গত জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের ১৫ তারিখা পর্যন্ত তার সম্পদ বেড়েছে ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। এর অন্যতম কারণ লকডাউনের কারণে মানুষ প্রত্যক্ষভাবে কোনোকিছু না কিনে অনলাইনে অর্ডার দিচ্ছে। অ্যামাজনের শেয়ার দরও বৃদ্ধি পেয়েছে ৩১ শতাংশ।

স্পেসএক্স ও টেসলার মালিক মাস্কেরও সম্পদ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে টেসলার শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৩ শতাংশ।