
দেশের করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে এই কঠোর লকডাউন। এ সময় দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখা থেকে আজ বুধবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে ২১টি নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য বলা হয়েছে।প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, লকডাউন চলাকালে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি বন্ধ থাকবে শপিংমল ও মার্কেটসহ সকল দোকান-পাট। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।
এ ছাড়া আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে দেশের বন্দরসমূহ তথা বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিল্প-কারখানাসমূহ চালু থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।অন্যদিকে, লকডাউন চলাকালেও ব্যাংকিং সেবা দিতে ব্যাংক খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া জুন ক্লোজিংয়ের কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কিছু বিভাগ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানও খোলা থাকবে। পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, কার্গো ভেসেল এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জরুরি পরিষেবা- যেমন কৃষি পণ্য ও উপকরণ তথা সার, বীজ, কৃষি যন্ত্রপাতি, কীটনাশক ইত্যাদি, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, ত্রাণ বিতরণ, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস কিংবা জ্বালানি, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট- সরকারি ও বেসরকারি, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, গণমাধ্যম তথা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস বা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও যানবাহন যাতায়াত করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে।