
রাজধানীর মগবাজার থেকে ওয়ারলেস গেট যাওয়ার পথের এলাকাটি যেন কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল। শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে যেমন লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় যুদ্ধক্ষেত্র, সেখানকার অবস্থাও তেমনই। ওয়ারলেস গেটের আড়ংয়ের শো-রুমের বিপরীত দিকে ৭৯ নম্বর সার্কুলার রোডে অবস্থিত রাখী ভিলায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে গতকাল (২৭ জুন) রাত ৭টার দিকে।
এতে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এর মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে ৩২ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া ঢাকা কমিউনিটি ক্লিনিক ও আদ্ব-দীন হাসপাতাল এবং আশপাশের অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বাকিদেরকে।
এখন বড় প্রশ্ন- কীভাবে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো? ঘটনার পর থেকেই ফায়ার সার্ভিস, পুলিশসহ দায়িত্বশীলদের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে বিভিন্ন ধরনের কথা উঠে এসেছে। কেউ বলছেন, এসি বিস্ফোরণ কারণে এমনটা হয়েছে। এছাড়া উঠে এসেছে- বোমা হামলা, গ্যাস লিকেজ, জেনারেটর কিংবা গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কথাও।
এ নিয়ে গঠিত একটি তদন্ত কমিটি বিষয়টা খতিয়ে দেখছে। তবে তার আগেই বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ নির্ধারণে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। প্রথমত, বোমা হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন বলেন- গ্যাস লিকেজ থেকে এমনটা ঘটার সম্ভাবনা নেই।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এখানে গ্যাসের পাইপ পরীক্ষা করেছি আমরা, তাতে কোনো সমস্যা খুঁজে পাইনি। জেনারেটরও বিস্ফোরিত হয়নি, কারণ তখন এলাকায় বিদ্যুত ছিল। বাকি থাকে গ্যাস সিলিন্ডার। আমরা ধারণা করছি, সেটা বিস্ফোরিত হয়েই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।