
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দল আওয়ামী লীগ ৭২ বছর বয়স শেষ করে ৭৩-এ পা দিয়েছে আজ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে দলটির জন্ম। নানা চড়াই-উতরাই আর ঘাত-প্রতিঘাত পাড়ি দিয়ে দলটি এখন অত্যন্ত পরিণত অবস্থানে। বর্তমানে ক্ষমতাসীন এই দল এর আগেও অনেকবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে।
স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ আর আওয়ামী লীগের ইতিহাস প্রায় এক সূত্রে গাঁথা। ঠিক যে সময় থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের অঙ্কুরোদগম, সে সময় থেকে দলটিরও শুরু। তারপর পাড়ি দিতে হয়েছে কতশত সংগ্রামের বন্ধুর পথ! বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতাসহ হাজার হাজার নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের পথ বেয়ে আজকের ৭৩ বছর বয়সী আওয়ামী লীগ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম পুরনো এবং শ্রেষ্ঠ দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। পৃথিবীতে যেসব দলের হাত ধরে একটি দেশের জন্ম হয়েছে, তেমন হাতে গোনা দুই-একটি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ অন্যতম। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ সৃষ্টির পরও যে বড় বড় অর্জন, সেগুলো সম্ভব হয়েছে এই দলটির কল্যাণে।
দলটির নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের নাম নিলেই সর্বাগ্রে দুজন মানুষের মুখ সামনে চলে আসে। একজন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আরেকজন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। উভয়ের হাত ধরেই আওয়ামী লীগ এগিয়ে গেছে অনেক দূর। এছাড়া দুঃসময়ের কাণ্ডারি দলের তৃণমূল কর্মীরা তো আছেনই।
তারা আরও বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এক ভয়ংকর মহামারি দেখা দিয়েছে, যখন ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী। মানুষকে এই মহামারি থেকে বাঁচাতে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দলের নেতাকর্মীরাও সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। জন্মলগ্ন থেকে মানুষের জন্য লড়াই করে আসা এই চরিত্রটিই আওয়ামী লীগের সৌন্দর্য।