
একাধারে চার বার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে স্পেসএক্সের রকেট পরীক্ষা, প্রতি বারই আগুন ধরে যায়। পঞ্চমবারে এসে সফলতার মুখ দেখলো বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল বুধবার স্পেসএক্সের স্টারশিপ প্রোটোটাইপের পরীক্ষা সফল হওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বেজ থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
স্টারবেজ ফ্লাইট কন্ট্রোল জানায়, স্পেসএক্সের স্টারশিপটি নির্ধারিত দূরত্ব অতিক্রম করে সফলভাবে ল্যান্ড করেছে। এতে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা যায়নি।
পরীক্ষায় ব্যবহার করা হয় স্টারশিপের স্টেইনলেস স্টিলের রকেট এসএন-১৫। এটি গালফ অফ মেক্সিকোর ১০ কিলোমিটার উপর পর্যন্ত উঠে ফিরে আসে মাটিতে।
ডয়চে ভেলের খবরে বলা হয়, ৬ মিনিটের এই উড্ডয়নের পর ল্যান্ড করার পর বেজে সীমিত আকারে আগুন লেগে যায়। এটিকে একবরেই স্বাভাবিক ঘটনা বলে জানিয়েছে স্পেসএক্স।
জানানো হয়েছে, রকেটটিতে জ্বালানি হিসেবে মিথেন ফুয়েল ব্যবহার করায় সামান্য আগুনের ঘটনা ঘটেছে, যা সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরীক্ষার পুরো বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছেন ইঞ্জিনিয়াররা।
এর আগে গত মাসে স্পেসএক্সের সঙ্গে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করেছে দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। প্রতিষ্ঠানটির স্টারশিপে করে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি।
সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহে যেতে সুপার হেভি রকেটের মাধ্যমে স্টারশিপ পাঠানোর কথা জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। বারবার ব্যবহার উপযোগী সেই রকেট নিয়ে আরো কিছু পরিকল্পনা রয়েছে তার। এর মধ্যে রয়েছে- চাঁদে ও মঙ্গলে মানুষ পাঠানো। মঙ্গলগ্রহে কলোনি এবং চাঁদে লুনার স্টেশন তৈরি করা।