হাড়ের ক্ষয় রোগের কারণ

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে রোগগুলো মানব দেহে বাসা বাঁধতে শুরু করে, অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় রোগ তার মধ্যে অন্যতম। মূলত হাড়ের ক্ষয় রোগটি হওয়ার পেছনে নির্দিষ্ট মাত্রায় হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়াকে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা। হাড়ের ঘনত্ব কমতে শুরু করলে হাড়ে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে আসে এবং হাড়ের স্বাভাবিক গঠন নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে ধীরে ধীরে হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।

যেসব কারণে হাড়ের ক্ষয় রোগ হয়

নানান কারণেই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষয় রোগ দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারণ হলো-

১. নারীদের বেলায় ইস্ট্রোজেন হরমোনের অভাবে।

২. পুরুষের বেলায় টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাব।

৩. থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা।

৪. প্যারা থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা।

৫. ক্যালসিয়ামের অভাব।

৬. ভিটামিন ডি’র অভাব।

৭. বংশে যদি কারো হাড়ের ক্যান্সার রোগ থেকে থাকে।

লক্ষণ ও উপসর্গ

এটিকে নিরব রোগ বললে ভুল হবে না। রোগটি মারাত্মক পর্যায়ে না পৌঁছা পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রেই বোঝা যায় না। বেশির ভাগ রোগীর হাড় ভাঙতে শুরু করলে তবেই বুঝতে পারেন তিনি অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। দেহের বিভিন্ন পেশি কিংবা হাড়ে কিংবা মেরুদণ্ডে ব্যথা হওয়া কিংবা কুঁজো হয়ে যাওয়া এই রোগের প্রধান উপসর্গ।

যারা ঝুঁকিতে আছেন

১. যেসব নারীর ঋতু বন্ধ হয়ে গেছে।

২. যারা পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম গ্রহণ করেন না।

৩. ভিটামিন ডি’র অভাব যাদের আছে।

৪. ধূমপানে আসক্ত ব্যক্তি।

৫. অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণকারী।

৬. গেঁটেবাত বা রিউমেটয়েড আর্থ্রাইটিস রোগে আক্রান্ত রোগী।

৭. ক্যান্সার, এইডসসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হলে এবং এসব রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

তাছাড়া নিয়মিত শরীর চর্চা না করলেও হাড়ের ক্ষয় রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।