
তিন মাসের দোকান ভাড়া মওকুফ ও করোনা কালে অথাৎ যতদিন পর্যন্ত করোনা মহামারী চলবে ততদিনের জন্য দোকান ভাড়া ৫০% কমানোর দাবিতে আজ সোমবার এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন মার্কেটের সাধারন ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা।
এ সময় তারা মার্কেটের সামনে অবস্থান নিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর করে তোলে এবং দাবি না মানলে আরো কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে বলে ঘোষণা দেয়। এতে অংশগ্রহণ করে মার্কেটের কয়েকশ সাধারন দোকানদার ও কর্মচারী।
এ প্রসঙ্গে আলম টাওয়ার মার্কেটে কমিটির সহ-সভাপতি আশরাফুল আলম অভিযোগ করে বলেন, করোনার কারনে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা দুই মাস দোকান বন্ধ রেখেছি, বর্তমানে দোকান খুললে ও কোন বেচাকেনা হচ্ছে না।এই পরিস্থিতিতে আমার দোকান ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন কোথা থেকে দিব। মার্কেট কমিটির কাছে বারবার অনুরোধ করলেও তারা এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিচ্ছে না।তাই একান্ত বাধ্য হয়ে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছি।
তিনি আরো বলেন আমাদের দাবির বিষয়ে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও তারা এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এ বিষয়ে এ-টু জেড গার্মেন্টস এর স্বত্বাধিকারী হাজী মমিনুল হক বলেন, আমাদের দাবি একটাই দোকান ভাড়া মওকুফ ও করোনা কালীন সময়ে ভাড়া কমানো। মার্কেট কমিটির কাছে অনুরোধ, আমাদের দাবি মেনে নিয়ে, আমাদের শান্তিপূর্ণ ভাবে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হোক।
মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী চায়না থেকে পোশাক আমদানী কারক নাবিলা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, করোনায় সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমদানীকারকরা । গত জানুয়ারি মাস থেকে চায়না যাওয়া বন্ধ থাকায় নতুন কোন পোশাক আমদানী করতে পারিনি। এখন খালি দোকান নিয়ে বসে অলস সময় কাটাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে জানতে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির সাথে যোগাযোগ করলে তারা কোন সদুত্তর না দিলেও পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
এ সময় মার্কেটর ব্যবসায়ীদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন,আক্তার হোসেন, মোঃ ফরিদ, লাভলু সহ বিভিন্ন মার্কেটের সাব-কমিটির সদস্য ও শতাধিক দোকান মালিক অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য কেরানীগঞ্জের গার্মেন্টস পল্লী বাংলাদেশের সবচাইতে বড় তৈরি পোশাকের পাইকারি মার্কেট। এই গার্মেন্টস পল্লীতে প্রায় ১০ হাজার শোরুম ও ৬ হাজারের কাছাকাছি কারখানা রয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৮ লক্ষাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিবেদক : টিটু আহম্মেদ (স্টাফরিপোর্টার)