
গত ২৭শে জুন সকাল হইতে আজ ৩০শে জুন সকাল পর্যন্ত ৭২ ঘন্টায় কেরানীগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৮ জন। এনিয়ে মোট কেরানীগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০২০ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে এক শিশু, ২৩ জন নারী এবং বাকিরা সবাই পুরুষ। দেশের প্রথম উপজেলা হিসেবে কেরানীগঞ্জে ১০০০ করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয় এবং গত ৭২ ঘন্টায় তিন জন সহ মোট ২৪ মৃত্যু বরণ করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডাঃ মীর মোবারক হোসেন আজ দুপুর ১ টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে কেরানীগঞ্জের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন পুরুষ ডাক্তার তার বয়স ২৯বছর, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ কোয়ার্টারে একজন পুরুষ তার বয়স ৫৬ বছর, দুই জন পুরুষ ফার্মাসিস্ট ও দুই জন নার্স সহ মোট ছয় জন।
পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির একজন পুরুষ তার বয়স ৪৩ বছর। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার একজন পুরুষ তার বয়স ৪৩ বছর। শুভাঢ্যা ইউনিয়নে তিন জন নারী ও সাতজন পুরুষ তাদের বয়স সহ মোট দশ জন।
আগানগর ইউনিয়নে একজন তরুনী তার বয়স ১৬ বছর ও ছয়জন পুরুষ সহ মোট সাতজন। জিঞ্জিরা ইউনিয়নের অমৃতপুরে একজন সহ ১২ জন পুরুষ ও সাজেদা হাসপাতালের দুই জন নার্স সহ মোট আটজন নারী ।
তেঘরিয়া ইউনিয়নে নয় মাসের এক শিশু, একজন পুরুষ তার বয়স ৪০ বছর ও দুই জন নারী তাদের একজনের বয়স ২৫ ও অপর জনের ৬৫ বছর।
কলাতিয়া ইউনিয়নে দুই জন নারী তাদের একজনের বয়স ৪০ ও অপর জনের ৫০ বছর এবং দুই জন পুরুষ তাদের একজনের বয়স ২৭ ও অপর জনের ৫৫ বছর।
কালিন্দী ইউনিয়নে ১২ বছর বয়সী এক মেয়ে ও তার জন পুরুষ সহ মোট পাঁচ জন।শাক্তা ইউনিয়নে তিনজন নারী ও ওয়াশপুরে একজন পুরুষ সহ তিন জন পুরুষ।
কোন্ডা ইউনিয়নে একজন পুরুষ তার বয়স ২৫ বছর। রুহিতপুর ইউনিয়নে একজন নারী তার বয়স ২৮ বছর ও একজন পুরুষ তার বয়স ৪৭ বছর।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসেন আরো বলেন, দেখতে দেখতে কেরানীগঞ্জে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে গেল।যত দিন যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে।তাই সকলের কাছে অনুরোধ সবাইকে সামনের দিনগুলোতে আরো সচেতন হতে হবে। একমাত্র নিজ থেকে সামাজিকভাবে সচেতন হলে, সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখলেই কেবল করোনাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হয়ে ঘরে থাকুন এবংসবাই অবশ্য অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন।
উল্লেখ্য গত ৫ই এপ্রিল কেরানীগঞ্জে প্রথম করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়। এরপর ১০০ অতিক্রম করে গত ২৮ এপ্রিল। ৩ মে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ হয় এবং ২ জুন এ সংখ্যা ৫০০ ছাড়ায়, ১২ জুন তা ৬০০, ১৪ই জুন তা ৭০০ ও আজ ১৯শে জুন তা ৮০০ ঘর এবং আজ ২৬শেজুন তা ৯০০শর ঘর এবং আজ ৩০শে জুন তা ১০০০ অতিক্রম করলো ।এখন পর্যন্ত মৃত্যু বরণ করেছেন ২৪ জন ও সুস্থ হয়ে উঠছেন ৪১০জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ৪৯২ জন ।এ পর্যন্ত মোট পরিক্ষা হয়েছে ৩৬০০ জনের কাছাকাছি।
প্রতিবেদক : টিটু আহম্মেদ (স্টাফরিপোর্টার)