ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা

করোনাকালীন এই সময়ে পানির দাম বাড়ানোয় ঢাকা ওয়াসার প্রতি প্রশ্ন রেখে হাইকোর্ট বলেছেন, পানির দাম না বাড়ালে কি হতো না? এ সময় পানির দাম বাড়ানোর ওপর আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। উক্ত সময় পর্যন্ত পানির দাম আগেরটাই থাকবে।

আজ সোমবার ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে করা রিটের শুনানিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ।

আজ আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ। ঢাকা ওয়াসার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ বছরে একবার পানির দাম বাড়ানোর কথা। কিন্তু ঢাকা ওয়াসা এক বছরে দুইবার পানির দাম বাড়িয়েছে। তাই বিষয়টি আদালতকে বলেছি।

তবে আদালতে পানির দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে যুক্তি দিয়ে ওয়াসার পক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, গত এপ্রিল মাসেই পানির দাম বাড়ানোয় এটি এখন কার্যকর হয়ে গেছে।

তখন আদালত বলেন, এপ্রিল মাসে হাইকোর্ট বন্ধ ছিল। ফলে এর প্রতিকার চাইতে নগরবাসীর কোথাও যাওয়ার সুযোগ ছিল না। তাই এখন এসেছে। তাছাড়া করোনাকালীন এ সময়ে পানির দাম না বাড়ালে কি হতো না?

এর আগে গত ১৫ জুন ঢাকা ওয়াসার পানির দাম ২৫ শতাংশ বাড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট আবেদন করেন তানভীর আহমেদ। আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, আইন সচিব, ঢাকা ওয়াসা, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পানির দাম বাড়িয়ে একটি অফিস আদেশ জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সেখানে বলা হয়, আবাসিকে সরবরাহ করা প্রতি এক হাজার লিটার পানির দাম ১১ টাকা ৫৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা করা হলো এবং বাণিজ্যিক সংযোগে প্রতি হাজার লিটার পানির দাম ৩৭ টাকা ৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা করা হলো।