
দিনকে দিন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। আজ সোমবার সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেলো পূর্বের সব রেকর্ড। একদিনেই কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬০০ এর অধিক। মৃত্যুবরণ করেছেন সর্বাধিক ২১ জন। তারপরও ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করেই আজ ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে।
এদিন মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের তীব্র ভিড় দেখা গেছে। সকালে মাত্র চারটি ফেরি চলাচল করলেও সেগুলো মানুষের চাপ সামাল দিতে পারছিল না। তাই দুপুরের দিকে আরো ৮টি ফেরি যোগ করে মোট ১২টি ফেরি দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হয়। কিন্তু তারপরও মানুষের চাপ সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছিল না।
শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় না পেয়ে বিকেল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে মন্ত্রণালয় ও প্রশাসন থেকে ফেরি বন্ধের এই ঘোষণা আসে। ফলে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ফের বন্ধ হয়ে গেলো।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার বিকেলে মন্ত্রণালয় ও প্রশাসন থেকে ফেরি বন্ধের ঘোষণা আসলে সব ফেরি বন্ধ করে দেয়া হয়। ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শিমুলিয়া ঘাটের মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. সিরাজুল কবীর বলেন, সকাল থেকেই ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়ে যাত্রীদের ফিরিয়ে দিচ্ছিল। তারপরও বিভিন্নভাবে লুকিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে থাকেন যাত্রীরা। এক পর্যায়ে যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে না পেরে ফেরি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ঘাট এলাকায় বর্তমানে ১০০টির মতো গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন যেসব গাড়ি আসছে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে মাওয়া সড়ক ও ঘাট এলাকায় যাত্রীর চাপ কমে গেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে। আর যারা না জেনে আসছেন, তারা ফের ঢাকায় ফিরে যাচ্ছেন।