
করোনার বিশেষ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৬ হাজার নার্সের চাহিদা দেয়া হলেও যোগ্য নার্স না পাওয়ার কথা বলে ৫ হাজার ৫৪ জনকে নিয়োগ দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।তবে, নিয়োগের সব শর্ত পূরণ করার পরও অনেককে নিয়োগ না দিয়ে অনিয়মের অভিযোগ নার্সদের। এ ব্যাপারে পিএসসি বলছে, কোনো অভিযোগ থাকলে অফিস খোলার পর পুনরায় যাচাইয়ের আবেদন করতে পারবেন নার্সরা।
দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর মধ্যে মারা গেছেন একজন চিকিৎসক ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী।
জরুরি অবস্থায় সেবা নিশ্চিত করতে সরকার আরও ৬ হাজার নার্স ও মিডওয়াইফারি নিয়োগের চাহিদা দিয়েছে। সবশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে ৩ হাজার ৬শ’ পদের বিপরীতে সরকার নিয়োগ দেয় ৫ হাজার ১২৭ জনকে। অপেক্ষমান তালিকায় ছিল ৫ হাজার ২৩০ জন। এর মধ্য থেকে ৫ হাজার ৫৪ জনকে পিএসসি নিয়োগের সুপারিশ করলেও বাদ পড়েছেন ১৭৬ জন।
প্রত্যাশীরা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বলার পরও কেন নিচ্ছে না। কেন আমাদের বাদ দিল জানি না। আমরা চাই আমাদের নেয়া হোক।
ওই বছর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও কাউন্সিল পরীক্ষা না হওয়ায় আরও ৭০০ জনের ভাইবা বাতিল করা হয়। তারা এখন নতুন করে ভাইবা নিয়ে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে রোববার (০৩ মে) পিএসসিতে আবেদন জানাতে চেয়েও পারেনি নিয়োগবঞ্চিতরা। কোনো অনিয়মের অভিযোগ পেলে অফিস খোলার পর পুনর্বিবেচনার আশ্বাস চেয়ারম্যানের।
পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, আমাদের কাছে যা ছিল আমরা সেটাই সুপারিশ করেছি। কেউ যদি বঞ্চিত হন তাহলে তারা আবেদন করতে পারবেন।
পিএসসির সুপারিশকৃতদের ব্যাপারে শিগগিরই গেজেট প্রকাশের কথা রয়েছে।