
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে সংক্রমণের তালিকায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে তরুণরা। এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে যারা সংক্রমিত হয়েছেন সে তালিকায় তরুণদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। এ সংখ্যাটা মোট শনাক্তের ২৪ শতাংশ।
আজ বৃহস্পতিবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছেন ২১-৩০ বছর বয়সী তরুণরা। মোট শনাক্তের ২৪ শতাংশ তারাই। এ ছাড়া ৬০ বছরের বেশি বয়সী ১০ শতাংশ, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১৫ শতাংশ, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ১৮ শতাংশ, ৩১-৪০ বছরের ২২ শতাংশ, ১১-২০ বছরের মধ্যে ৮ শতাংশ এবং ১০ বা তার নিচের বছর বয়সী ৩ শতাংশ।
অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মানুষ। তাই তরুণ যুব সমাজকে অনুরোধ করবো, আপনারা ঘরে থাকুন। নিজে সাবধানে থাকুন এবং অন্যকেও সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করুন, যোগ করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পর ২৩ মার্চ পর্যন্ত সংখ্যাটা ছিল মাত্র ছয় জন। আর আজ ২৩ এপ্রিল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৮৬ জনে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের সংখ্যা ৭০০ গুণ বেড়েছে।
তিনি বলেন, মোট শনাক্তের ৮৫.২৬ শতাংশই ঢাকা শহর এবং ঢাকা বিভাগের। এর মধ্যে ঢাকা শহরে ৪৫.৫১ শতাংশ আর ঢাকা বিভাগে ৩৯.৭৫ শতাংশ। ঢাকা বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে ঢাকা মহানগর, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ এবং নরসিংদীতে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মরণঘাতী করোনাভাইরাসে আরো ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১২৭ জনে। এ ছাড়া একই সময়ে দেশে আরো ৪১৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ১৮৬ জন।
গত একদিনের ব্যবধানে দেশে আরো ১৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১০৮ জন সুস্থ হলেন।
এর আগে গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আর প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।