
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়ংকর এই সময়ে যাদের চিকিৎসা দেওয়ার কথা, তাদেরকেই নিতে হচ্ছে। দেশে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই মহামারিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ চিকিৎসক ও ১০ নার্স। চিকিৎসকদের মধ্যে ২ জন আছেন আইসিইউতে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। গতকাল এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের (বিডিএফ) প্রধান সমন্বয়ক ডা. নিরূপম দাশ।
ডা. নিরূপম দাশ বলেন, ডাক্তারদের আক্রান্ত হওয়ার খবর বেশ উদ্বেগজনক। এভাবে অন্য ডাক্তারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা এই মুহূর্তে দেশের সার্বিক চিকিৎসার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
ডাক্তাররা কেন আক্রান্ত হচ্ছেন, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা হচ্ছে রোগীদের তথ্য গোপন করার কারণে। অনেকেই শরীরে করোনার জীবাণু বয়ে বেড়াচ্ছেন কিন্তু নমুনা পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হচ্ছেন না। উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর ডাক্তারদের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যেহেতু দেশে এখন করোনাভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গেছে সেহেতু তথ্য লুকিয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে ডাক্তারদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
‘ডাক্তারদের পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট)-এর মান নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে’ মন্তব্য করে ডা. নিরূপম বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই এটি প্রোটেকশন হিসেবে কাজ করছে না।
চিকিৎসকদের মধ্যে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অধিকাংশই ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের। করোনায় আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে