
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে এবং আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিশাল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।
প্রতিষ্ঠানটির এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, ওয়ালটন তাদের পণ্যের আন্তর্জাতিক সরবারহের জন্য যে সুদক্ষ পরিবহন ব্যবস্থা অনুসরণ করে, সেই ব্যবস্থায় ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম দেশে আনতে যাচ্ছে।
করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৮ হাজারে বেশি মানুষ। বাংলাদেশেও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯জন। এই পরিস্থিতি সারা পৃথিবী টালমাটাল হয়ে পড়েছে।
ওয়ালটন জানিয়েছে, বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে যে বিপুল পিপিই প্রয়োজন তা যোগান দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। এ ছাড়া ফেস মাস্ক, সুরক্ষা চশমা, হ্যান্ড গ্লোভস, সু-কাভার, প্রোটেক্টিভ ক্যাপ ও ইনফ্রারেড থার্মোমিটার আনতে যাচ্ছে ওয়ালটন।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারকে জানানো হয়েছে, বিমানযোগে এই সব জিনিস বাংলাদেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের আর কোন কোন খাতে সহায়তা দরকার তা জানতে চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দফতরে চিঠিও দিয়েছে ওয়ালটন।
দেশীয় এ প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি ভেন্টিলেশন সুবিধা ও প্রয়োজনীয় মেডিসিন আমদানির জন্যও সরকারের অনুমতি চেয়েছে। অনুমতি পেলে জরুরি ভিত্তিতে ভেন্টিলেটর, মেডিসিন ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি করার ঘোষণা দিয়েছে তারা।
ওয়ালটনের আগে, গুগল, ফেসবুক, অ্যাপল, ইন্টেল, স্যামসাং ও টেসলার মতো প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোও নিজ নিজ দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ফান্ডে অনুদান দিয়েছে। ইন্টেল আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা রেড ক্রসের ফান্ডে দুই মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ওয়ালটনও এগিয়ে এলো।