
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ২০৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০১২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ১৯০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আইইডিসিআর।
এরআগে সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, সব মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৯ জনের। নতুন করে তিন জন সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন।
বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ধাপে ধাপে বাড়তে থাকে শনাক্ত রোগী। গেল ৯ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টায় দেশে শতাধিক করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্তের কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। এরপর থেকে শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও বাড়ে মৃত্যুর সংখ্যা।
এদিকে মঙ্গলবার এ প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ২৫ হাজার ১৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে। ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টা পর্যন্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৯ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়ার্ল্ডওমিটারে এ সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৩ লাখ ৬০ হাজার ৪৫৭ জন। এদের মধ্যে ১৩ লাখ ৮ হাজার ৬৯৩ জনের অবস্থা স্থিতিশীল এবং ৫১ হাজার ৭৬৪ জনের অবস্থা গুরুতর।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহ তাণ্ডব চলছে। এই ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৬৪৪ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ১৫৫ জনে।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরে অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ৪৬৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫১৬ জন।
ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ২৪৯ জন এবং মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৪১ জন।
এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩ হাজার ৩০৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৫৮৫ জনের।