করোনায় ঈদের পর সর্বোচ্চ শনাক্ত, মৃত্যু ২২৮

দেশে মরণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় কিছুটা বেশি। আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৯ হাজার ২৭৪। একই সময়ে দেশে আরো ১১ হাজার ২৯১ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় অনেকটা বেশি। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৬ হাজার জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৫। গত ২১ জুলাই ঈদুল আজহার পর এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত।

আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। দেশে করোনা শনাক্তের পর থেকে প্রতিদিনই পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার আপডেট জানিয়েছে আসছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৯৭২টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৫৮৭টি। এর মধ্যে আরো ১১ হাজার ২৯১ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় অনেক বেশি। আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছিল ৬ হাজার ৭৮০ জন। গত ১২ জুলাই ১৩ হাজার ৭৬৮ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়, যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৫ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৪ লাখ ৫৫ হাজার ২৮১টি।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে আরো ২২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গতকালের তুলনায় কিছুটা বেশি। আগের ২৪ ঘণ্টায মৃত্যু হয়েছিল ১৯৫ জনের। এর আগে গত ১৯ জুলাই ২৩১ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে দেশে মোট ১৯ হাজার ২৭৪ জনের মৃত্যু হলো। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১২৫ জন পুরুষ এবং ১০৩ জন নারী। এর মধ্যে ১৪ জন বাড়িতে এবং বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন।

২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ০৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৫৮৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৩ জন।প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।