১৪ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন বিধিনিষেধ বহাল থাকবে

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে আরোপিত চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ বহাল থাকলে বলে সরকারের পক্ষ জানানো হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আজ সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা জারি করে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা আগামী ১৪ জুলাই মধ্যরাত (রাত ১২টা) পর্যন্ত বাড়ানো হলো।

এর আগে গতকাল রোববারই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, দেশে করোনার সংক্রমণ এখানো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে, এ অবস্থায় চলমান লকডাউন আরো ৭ দিনের জন্য বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকেও বিধিনিষেধ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

এর আগে গত ৩০ জুন এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত চলার কথা এই কঠোর লকডাউন। তবে তার দুই দিন বাকি থাকতেই বিধিনিষেধের মেয়াদ আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হলো।

এর আগে ২১টি নির্দেশনা প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, লকডাউন চলাকালে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি বন্ধ থাকবে শপিংমল ও মার্কেটসহ সকল দোকান-পাট। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।

এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে দেশের বন্দরসমূহ তথা বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ। এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিল্প-কারখানাসমূহ চালু থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়। অন্যদিকে, লকডাউন চলাকালেও ব্যাংকিং সেবা দিতে ব্যাংক খোলা থাকবে। পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, কার্গো ভেসেল এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জরুরি পরিষেবা- যেমন কৃষি পণ্য ও উপকরণ তথা সার, বীজ, কৃষি যন্ত্রপাতি, কীটনাশক ইত্যাদি, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, ত্রাণ বিতরণ, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস কিংবা জ্বালানি, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট- সরকারি ও বেসরকারি, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, গণমাধ্যম তথা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালস এবং ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস বা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও যানবাহন যাতায়াত করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে।