
বুড়িগঙ্গায় প্রায়ই ঘটে খেয়া পারাপারের নৌকা ডুবির ঘটনা। এ দুর্ঘটনা রোধে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, তারই অংশ হিসেবে বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌ দুর্ঘটনা থেকে প্রাণহানির কমাতে খেয়া পারাপারের নৌকায় বয়া ও লাইফ জ্যাকেট রাখা বাধ্যতামূলক করেছে বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদী বন্দর শাখা কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা নদী বন্দরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নৌকার মালিকগন নিজ নিজ উদ্যোগে প্রতি নৌকায় বয়া ও লাইফ জ্যাকেট স্থাপন করবেন এবং সন্ধ্যার পরে প্রতি নৌকায় আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে।এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বুড়িগঙ্গা নদী নৌকা মালিক সমিতির তত্ত্বাবধানে গতকাল ৯ই আগস্ট থেকে প্রতি প্রতি নৌকায় লাইফ জ্যাকেট ও বয়া স্থাপন করা শুরু হয়েছে। এতে নৌকাডুবিতে কিছুটা হলেও প্রাণহানি রোধ করা যাবে বলে পারাপারের যাত্রীরা মনে করেন।
এ প্রসঙ্গে নৌকা মাঝি মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বলেন আমি প্রায় ২০ বছর ধরে বুড়িগঙ্গায় নৌকা চালাই। অনেক দুর্ঘটনা চোখের সামনে দেখেছি।এই পরিকল্পনা আগে থেকেই নেওয়া দরকার ছিল তাহলে অনেক মানুষের প্রাণ বাচতো। আমার নৌকা মালিক মোহাম্মদ হারুনের ৩৫টি নৌকা আছে। তিনি প্রতিটি নৌকায় এ ধরনের সরঞ্জামাদি স্থাপন করেছেন।প্রতিটি নৌকায় বয়া ও লাইফ জ্যাকেট স্থাপন করতে ১৭০০ টাকা করে খরচ হয়েছে।
বয়া ও লাইফ জ্যাকেট স্থাপন প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিসির ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ন পরিচালক মোঃ আরিফ উদ্দিন বলেন, নৌ দুর্ঘটনা থেকে প্রাণহানি রোধে আমরা অনেকগুলো কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।তারই অংশ হিসেবে প্রতিটি নৌকায় দুটি করে বয়া ও লাইফ জ্যাকেট রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নৌ পুলিশের মাধ্যমে তা নিয়মিত তদারকি করা হবে। এ নির্দেশনা কেউ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবেদক : টিটু আহম্মেদ (স্টাফরিপোর্টার)