বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন আর নেই, আরো একটি নক্ষত্রের পতন

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক যুগ্মসচিব নাসির উদ্দীন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন তিনি। গুনি এই ব্যাক্তি ১৯৪৬ সালে উপজেলার শাক্তা ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি স্কুল জীবন থেকেই নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে  ব্যস্ত রেখেছেন। ১৯৬২/৬৩ সালে রামেরকান্দা ইস্পাহানি স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করে ঢাকা কলেজে পড়াকালীন ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ কারণে তিনি কলেজ থেকে বহিষ্কারও হন। পড়ে কায়দে আজম কলেজ থেকে আই এ পাশ করেন এবং এই কলেজ থেকে বি এ পাস করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হলে তিনি রাজনৈতিক নেতাদের বিশ্বস্ত  আস্থাভাজন কর্মী হিসেবে পরিচিতি পান।

জাতীরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতা,  সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল হক মনি,নুরুল আলম সিদ্দিকি আব্দুলকুদ্দুস মাখন, রব শাহজান সিরাজ প্রমুখ নেতৃবৃন্দের  সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন।

আন্দোলন সংগ্রমে প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন, ৬৯গন  অভ্যূত্থানের সময় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ঢাকাজেলার আহবায়ক দায়িত্ব গ্রহণ, ৭০এর জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত অধ্যাপক হামিদুর রহমানকে এম সি এ এবং আশ্রাফ আলী চৌধুরীকে এম ন এ  জয় করার লক্ষ্যে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম নেতা নিযুক্ত হনএবং উভয়কে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করান।

এরপর ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বে ঢাকাজেলার মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার নিযুক্ত হন। সদ্য-স্বাধীন দেশকে পুনর্বাসন কাজে অংশগ্রহণে অধ্যাপক হামিদুর রহমান এম সি এর বিশেষ  সহকারীর দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭২ শেখ ফজলুল হক মনির সংগঠিত যুবলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির সহ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

পরবর্তীতে বিসিএস ক্যাডার হিসেবে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে ময়মনসিংহ জেলায় নিযুক্ত হন। বিভিন্ন মহকুমা, উপ-জেলায়, জেলায়, সচিবালয় দায়িত্ব পালন করে সংসদ-সচিবালয়ে তার কর্ম জীবন শেষ করেন।

প্রতিবেদক : টিটু আহম্মেদ  (স্টাফরিপোর্টার)