
মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ রুটে ঈদে ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক শ যানবাহন। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই রাজধানী ঢাকা থেকে বিভিন্ন উপায়ে তিন থেকে ৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে আসছেন যাত্রীরা। পরে পাড়ি দিচ্ছেন সাত কিলোমিটারের এই পদ্মানদী। এদিকে ঘাটের উভয়পাড়ে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী যানবাহনের বাড়তি চাপ। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ছোটবড় কয়েক শ যানবাহন। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৭টি ফেরির মধ্যে ১৩ থেকে ১৪টি ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে।
এদিকে ফেরিতে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে এসে বিপাকে পড়ছে যাত্রীরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কেউ কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ ছোট যানবাহনে ৩ থেকে ৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুঁটছেন। তবে, মাদারীপুরের ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে পুলিশের চেকপোস্ট থাকলেও তা ছিল কার্যত অকার্যকর। ফলে অবাদে যাতায়াত করছে ঘরমুখো মানুষ।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ রাজধানী ঢাকার সাথে যাতায়াতের জন্য মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ রুট ব্যবহার করেন। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করলেও ঈদে এর সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।