ঈদের আগেই সবার কেনাকাটার ব্যবস্থা করা হবে -প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে ঈদের আগে কেনাকাটা করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সোমবার (০৪ মে) চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে রংপুর বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোজার মাস উপলক্ষে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে কিছু জিনিস উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সেখানে সবাইকে নিজেকে ও অপরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রোজার মাসে যাতে কেনাবেচা চলতে পারে, সেজন্য দোকানপাট খোলা, বাজার-হাট চালু রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলায় জেলা-ভিত্তিক ক্ষুদ্র শিল্প চালানো যাবে।

তিনি বলেন, আসলে ঈদে মানুষ কেনাকাটা করবে, বাজার-সদাই কিছু করতেই হবে। তবে এক্ষেত্রে বাজারে যেনো মানুষ নিজে সুরক্ষিত থেকে বাজারটা করে। আমি মনে করি, এটা বন্ধ করাটা ঠিক হবে না। বরং ধীরে ধীরে আরেকটু ছাড় দিতে হবে, যাতে মানুষ তার দৈনন্দিন জীবন-যাপন করতে পারে। আর তাছাড়া রোজার সময়েরও মানুষের স্বাভাবিক কেনাকাটা, স্বাভাবিক জীপন-যাপন করতে পারে। একেবারে বেশি লোকসমাগম করে নয়, কিন্তু পারিবারিকভাবে যাতে উদযাপনের আনন্দটা করতে পারে, সেই ব্যবস্থাটা নিতে হবে। তবে সবকিছু বন্ধ করে নয়।

এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়েও নির্দেশ দেন সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের তিনি বলেন, অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনাদের ব্যবস্থা নিতে হবে।

সাধারণ ছুটি ১৫ মে পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারি অফিস আদালত সব সীমিত করে চালু করে দিচ্ছি। সামনে ঈদ, তার আগে কেনাকাটা বা যা যা দরকার সেগুলোও যেন মানুষ করতে পারে।

এর আগে, শেখ হাসিনা করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ছয় দফা পৃথক ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৬টি জেলার সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।