আবারও পোশাক শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত -বিজিএমইএ

অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সীমিত পরিসরে অঞ্চলভিত্তিক কিছু পোশাক শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা খোলা রাখার পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি।

বিজিএমইএ বলেছে, তবে কারখানা খুললেও আপাতত ঢাকার বাইরে তথা গ্রামে যাওয়া শ্রমিকদের না আনার অনুরোধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিকদের। সেইসঙ্গে গ্রামে যাওয়া শ্রমিকদের ছাঁটাই না করে চলতি এপ্রিল মাসের বেতন পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধও জানিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি।

আজ শনিবার বিজিএমইএ তাদের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে। এতে বলা হয়, সামগ্রিক দিক বিবেচনায় নিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার স্বার্থে বিজিএমইএ সীমিত পরিসরে জোনভিত্তিক কিছু কারখানা খোলার পরামর্শ দেবে। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কারখানার আশপাশে বসবাসকারী শ্রমিকদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।

সাধারণ নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, মানবিক দিক বিবেচনা করে শ্রমিকদের ছাঁটাই না করতে সদস্যদের অনুরোধ করা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে অনুপস্থিত শ্রমিককে এপ্রিল মাসের বেতন পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করা হলো।

পরামর্শ অনুযায়ী কারখানা খোলার তারিখ ও প্রটোকল দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিপালন করার অনুরোধ করে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিজিএমইএ’র সমর্থন ছাড়া শ্রমিকরা নিয়মবহির্ভূতভাবে ঢাকায় চলে এলে সংগঠন থেকে সংশ্লিষ্ট সদস্যদের সহযোগিতা দেওয়া সম্ভব হবে না।

এর আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত, বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শ্রমিকদের ঢাকায় আসার খবর পাওয়া। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুট ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে শ্রমিকদের ঢাকায় আসতে দেখা যায়। শ্রমিকরা জানান, রোববার থেকে কারখানা খোলা, তাই যানবাহন না থাকলেও কষ্ট করে ঢাকায় যেতে হচ্ছে।