
যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় একদিনে ৬ বাংলাদেশিসহ প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে ১৪৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেলেন। আর মোট মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। নতুন করে আরও ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৬ লাখ ৪৪ হাজারের বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। বুধবারও (১৫ এপ্রিল) কোভিড নাইনটিনে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে। তবুও হোয়াইট হাউসের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটি খুলে দেয়ার ব্যাপারে আবারও নিজের অবস্থানের অনঢ়।
যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাদের প্রশংসায় এখন পঞ্চমুখ সবাই।
হাসপাতালে বেড সঙ্কটে প্রতিদিন নতুন আক্রান্তদের অনেকে বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন, চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মরণঘাতী করোনাভাইরাসে বিধ্বস্ত যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিদিনই মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ২ হাজার ৪৮২ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৫২৯ জন।
ওর্য়াল্ডওমিটারের তথ্যমতে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৪৮ হাজার ৭০১ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন নিউইয়র্কে। এ অঙ্গরাজ্যে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৭৮৬ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িছে ১০ হাজার ৮৪২ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখেরও বেশি মানুষ। এরপর নিউজার্সিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৮৩৪ জন, মারা গেছেন ২ হাজার ৮০৫ জন।
এদিকে আক্রান্তের সংখ্যায় মিশিগানকে টপকে তৃতীয়স্থানে উঠে এসেছে ম্যাসাচুসেটস। এ অঙ্গরাজ্যটিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজারের বেশি, মারা গেছেন ৮৪৪ জন। মিশিগানে ২৫ হাজার আক্রান্ত ও ১ হাজার ৬০২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রাণঘাতী নোবেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভয়াল থাবায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ছাঁড়িয়েছে। প্রাণহানি ঘটেছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬১৫ জনে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৪১ জন।