
টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার সময় রাস্তায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে দ্বীপের ১ নম্বর ওয়ার্ডের জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন এমন ভয়ে স্থানীয় কেউ তার কাছে যাচ্ছে না।
মৃত ব্যাক্তি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ আবু বক্কর।
মৃত ব্যক্তির মেয়ের বরাত দিয়ে সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, গত দুই-তিনদিন ধরে ওই ব্যক্তি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ভুগছিলেন। আজ সকালে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার সময় হঠাৎ রাস্তায় মারা যান তিনি।
নুর আহমদ আরো জানান, রাস্তার ওপর আকস্মিক মৃত্যু এবং জ্বর ও সর্দি-কাশি থাকায় করোনাভাইরাসের আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ তার কাছে যাচ্ছে না। দ্বীপজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক ওই ব্যক্তির দাফন সম্পন্ন করতে একটি মেডিকেল টিম ইতোমধ্যে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির দাফন কাজে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর পরই পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।