
বাংলাদেশ এখন শীর্ষ করোনায় আক্রান্ত দেশের একটি। এই মহামারির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, সংক্রমণের তালিকায় দেশের অবস্থান ১৯ নম্বরে। গত ১ সপ্তাহে যে পরিমাণ শনাক্ত হয়েছে তাতে বাংলাদেশ অবস্থান করছে শীর্ষ ১০-এ। আর মৃত্যু কিংবা সুস্থ হওয়া বাদ দিলে বর্তমানে যে পরিমাণ আক্রান্ত আছেন, সেই হিসেবে দেশের অবস্থান শীর্ষ ৭-এ। এই যখন সংক্রমণের উপাত্ত, তখন নমুনা পরীক্ষার হারে তলানিতে বাংলাদেশ।
দেশে প্রতি ১০ লাখে ২ হাজার ৮৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শীর্ষ ২০ দেশের মধ্যে এটা ১৯ তম। ২০ নম্বরে আছে মেক্সিকো, দেশটিতে প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে ২ হাজার ৮৬৬ জনের। পাকিস্তানে প্রতি ১০ লাখে পরীক্ষা হচ্ছে ৩ হাজার ৬৬৭ জনের আর ভারতে পরীক্ষা হচ্ছে ৩ হাজার ৮৮৯ জনের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত দ্রুত সময়ের মধ্যে যত বেশি মানুষকে পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসা যাবে ততই মঙ্গল। অন্য দেশের সঙ্গে তুলনা করে লাভ নেই, কারণ কোনো কোনো দেশে ২৪ ঘণ্টায় লাখের ওপরে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। সেদিকে না তাকিয়ে দেশে প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার মানুষকে পরীক্ষা করতে হবে।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে যে যন্ত্রের মাধ্যমে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের পরীক্ষা হচ্ছে, তাতে একবারে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব। সময় খরচ হয় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। তাছাড়া টেকনোলজিস্ট কিংবা পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত অভাব তো আছেই। তাই অনেক চেষ্টা করেও পরীক্ষার হার বাড়ানো যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের মত, এই পরিস্থিতিতে র্যাপিড টেস্ট কিটই একমাত্র ভরসা। এভাবে নমুনা ল্যাবে পাঠিয়ে অপেক্ষা করে করোনা পরীক্ষায় খুব বেশিদূর যাওয়া সম্ভব নয়।