
করোনাভাইরাসের ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট’ চিন্তার ভাজ ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের কপালে। শেষ কয়েকদিনে দেশে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের প্রায় ৮০ শতাংশই এই ভ্যারিয়েন্টের শিকার। এ অবস্থায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য গোটা দেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
কমিটির পরামর্শ সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে সরকার- গতকাল (২৪ জুন) এমনটা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘যে কোনো সময়’ এই ঘোষণা আসতে পারে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েল একটি সূত্র জানিয়েছে, এ নিয়ে একদমই দেরি করতে চায় না সরকার। আগামী সপ্তাহ থেকেই এটি ঘোষণা হতে পারে।পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনার ডেল্টা ধরনের সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশই সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। এই সংক্রমণ প্রতিরোধে খণ্ড খণ্ডভাবে যে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে, সেটার উপযোগিতা ইতোমধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, শাটডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে। যানবাহন, মার্কেট, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে। আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন, এই ধরনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করতে পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।লকডাউন এবং শাটডাউনের পার্থক্য নিয়ে কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- লকডাউনে সবকিছু বন্ধ করা হয় না। কখনো হয়তো দোকান খোলা রাখা হয়, কখনো গার্মেন্টস। কিন্তু শাটডাউন হলো সম্পূর্ণ বন্ধ। কোনো কিছুই খোলা থাকবে না। কোনো ব্যক্তি যে অবস্থায় যেখানে আছে, সেখানেই অবস্থান করবে।