
এখনই যদি পুরো দেশ লকডাউন ঘোষণা করা না হয় তাহলে সামনে আরো ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস মিলনায়তনে আয়োজিত এক জরুরি বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে এ আশঙ্কার কথা জানান তারা।
জানা গেছে, দেশের সকল চিকিৎসক, চিকিৎসা খাতের বিভিন্ন সংগঠন, সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা মনে করছেন, এখনই যদি পুরো দেশ লকডাউন ঘোষণা করা না হয় তাহলে আগামীতে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে তারা বলেন, সারা দেশ এখনই লকডাউন করা জরুরি। কারণ করোনাভাইরাস সামাজিকভাবে ছড়াতে শুরু করেছে। দেশে মৃত্যুহার ১০ শতাংশের বেশি। যা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া দেশগুলোর চেয়েও অধিক। ইতোমধ্যে একদিনের ব্যবধানে রোগীর সংখ্যাও দ্বিগুণ হতে শুরু করেছে।
তাই বাংলাদেশের উচিত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা। নয়তো শিগগিরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তখন চাইলেও আর ভয়াবহ বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদুল কবীর বলেন, দেশ সম্পূর্ণ লকডাউন না করলে আগামী ১০ দিনে ভাইরাসটি ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। তাই এখনই শক্ত অবস্থান নেয়া জরুরি।
একই মতামত দিয়েছেন জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক দীন মোহাম্মদ। তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সামনে আরো কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের পরীক্ষার সংখ্যা আরো বাড়ানো উচিত। কারণ ছুটি ঘোষণার পর সাধারণ লোকজন বাড়ি চলে যায়, গার্মেন্টস খুলে দেয়ায় অধিকাংশই ফের ঢাকায় ফেরেন। এতে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে গেছে। তাই ভাইরাসটি ঠিক কতটা ছড়িয়েছে তা পরীক্ষা না করলে বোঝা যাবে না।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইকবাল আর্সালান, সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ।