বিদ্যালয়ের ভবন তৈরিতে রডের পরিবর্তে বাঁশ !

বান্দরবানে পিছিয়ে পড়া ম্রো জনগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য নির্মাণ করা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনে রডের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ। ফলে উপজাতি শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

জানা যায়, আলীকদম উপজেলার দুর্গম কুরুকপাতা এলাকায় অবস্থিত ‘কুরুকপাতা মৈত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’টি ২০১৩ সালে সরকারিকরণ করা হয়। বর্তমানে এতে পড়াশুনা করছে ম্রো জনগোষ্ঠীর ১৭৯ জন শিক্ষার্থী। সম্প্রতি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু ভবন নির্মাণে রডের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ। অভিযোগের তীর উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার এবং আলীকদম উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু সামা জানান, বাঁশ দিয়ে ভবন নির্মাণের বিষয়টি ইতোমধ্যে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন। বোর্ডের কর্মকর্তারা গতকাল শনিবার বিদ্যালয়টি পরিদর্শনেও এসেছেন।

এ বিষয়ে কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্রাত পুং ম্রো বলেন, এটিই ইউনিয়নের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করায় শিশুদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিশুদের বিদ্যালয় নির্মাণে এ ধরনের কাজ খুবই দুঃখজনক।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী ত্রিদিব কুমার ত্রিপুরা বলেন, তারা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন এবং ভবনের ড্রপ ওয়ালে বাঁশ ব্যবহারের সত্যতা পেয়েছেন। বিদ্যালয়টি নির্মাণ করা ঠিকাদার এটি করে খুবই অন্যায় করেছেন। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, তারা ইতোমধ্যে বাঁশ ব্যবহার করা ওই ড্রপ ওয়ালটি ভেঙ্গে ফেলেছেন।

নিজের ভুল স্বীকার করে অভিযুক্ত ঠিকাদার মো. জামাল উদ্দিন বলেন, মূলত ড্রপ ওয়াল থেকে বালি, সিমেন্ট ও কংক্রিটের মিশ্রন যাতে খসে পড়ে না যায় তাই ওই বাঁশগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তিনি বাঁশগুলো সেখান থেকে খুলে ফেলবেন।