
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আটকা পড়েছেন অসংখ্য বাংলাদেশি। তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক জরুরি বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিরা আটকা পড়ে আছেন। খুব শিগগিররই তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তবে যারা ভারতে আটকা পড়েছেন তাদের এখনই ফেরত আনা সম্ভব না। কারণ সেখানে লকডাউন চলছে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের অনেক বড় অবদান। তারা এই দেশের সম্পদ। তাই তাদের সকল দুর্দশা কমানোর চেষ্টা করছে সরকার। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশ মিশনগুলোকে বলে দেয়া হয়েছে, তারা যেন প্রবাসীদের সব ধরনের সহযোগিতা করে।
সংকট মোকাবেলায় মিশনগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ কাজে তাদের যেকোনো ধরনের সাহায্য সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে। যে দেশেই প্রবাসীদের ফেরত আনার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, সেখান থেকে তাদের ফেরত আনা হচ্ছে।
আজ বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জানা যায়, প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চাপ দিচ্ছে বিভিন্ন দেশ। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বসবাস করা প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার বাংলাদেশিকে জরুরি ভিত্তিতে ফেরাতে চাপ বাড়ছে।
ইতোমধ্যে কুয়েতে থাকা ৩৫০ অবৈধ বাংলাদেশির একটি তালিকা ঢাকাকে দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ডিটেনশন সেন্টার থেকে ছাড়া পাওয়া ১২৫ জনকে আগামী সপ্তাহে বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশে পাঠানো হবে। ফ্লাইটটি ঢাকায় নামার অনুমতি চেয়েছে। তবে ঢাকা থেকে বলা হয়েছে ১৪ এপ্রিলের আগে যেন ফ্লাইটটি না পাঠায়।
এদিকে বাহরাইন, কাতার ও কুয়েতে বর্তমানে প্রায় ৩৮ হাজার অবৈধ বাংলাদেশি আছেন। সৌদি আরব ও ওমানে কয়েক হাজার অবৈধ প্রবাসী আছেন। একই সঙ্গে সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও মালদ্বীপও তাদের দেশে থাকা অবৈধ বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ঢাকাকে চাপ দিচ্ছে।